সিলিং ডিজাইন করুন পরিকল্পনামাফিক

একসময় বাড়ি নির্মাণে অন্দরের সাজসজ্জার মূল বিষয় ছিল ঘরের আসবাবপত্র। এরপর দেয়ালকে সুন্দর করে সাজানো, নিত্যনতুন নকশায় দৃষ্টিনন্দন করার ট্রেন্ড এলো, সাথে শুরু হলো সিলিংয়ের নকশায় সৃজনশীলতা আনা। গৃহসজ্জায় নান্দনিকতার ছোঁয়া দিতে সিলিং ডিজাইনিং হয়ে উঠলো গৃহসজ্জার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

বর্তমানে কর্পোরেট অফিস ভবন, অডিটোরিয়াম কিংবা বড় বড় হলঘরেই সিলিং নান্দনিক সব ডিজাইনের ব্যবহার বেশি হলেও বাসাবাড়িতেও সিলিং ডিজাইন করতে ভোলেন না সৌখিন মানুষেরা। আর সিলিংয়ের নকশা বাড়ি নির্মাণের পর নয়, করলে নির্মাণকালেই করে ফেলতে হবে কিছু বিষয় মাথায় রেখে। চলুন, সেসব জেনে নেয়া যাক।

১. ঘরের আকৃতি

নকশা বাছাইয়ের পূর্বশর্ত হলো ঘরের আকৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে নকশা বাছাই করা। লম্বা, আয়তাকার কিংবা বর্গাকার ঘরে একরকম, গোলাকার ডাইনিং রুম হলে একরকম, বড় হলঘর হলে একরকম, আর বাথরুমের মতো সংক্ষিপ্ত পরিসরে একরকম নকশা।

২. যেমন ইন্টেরিয়র তেমন সিলিং

সিলিংয়ের ডিজাইন ঠিক করার আগে অবশ্যই ঘরের ইন্টেরিয়র ডিজাইন ঠিক করতে হবে। ইন্টারিয়রের রং, প্রধান উপাদান (কাঠ, গ্লাস, মার্বেল কিংবা স্টিল), অ্যাম্বিয়েন্স- সবকিছুর সাথে সামঞ্জস্য রেখেই ঠিক করতে হবে সিলিংয়ের নকশা।

৩. আলোকসজ্জা

সিলিংয়ে আলোকসজ্জার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে ঘরের আসবাবপত্রের অবস্থানের ওপর। ঘরের প্রধান আসবাবপত্র এবং অন্যান্য সৌন্দর্যবর্ধক উপাদানগুলো যদি দেয়াল বরাবর হয়, তাহলে আলোকসজ্জাও ঘরের দেয়ালগুলোর নিকটবর্তী হতে পারে। এতে দেয়ালের রংও ফুটে ওঠে। আবার লক্ষ্য যদি থাকে পুরো ঘরে আলোর সুষম বন্টন, তাহলে সিলিংয়ের কেন্দ্র বরাবর আলোকসজ্জাই মানানসই হবে।

৪. উচ্চতা মাথায় রাখা জরুরি

সিলিংয়ের যেকোনো নকশা নির্ধারণ করার পূর্বে অবশ্যই উচ্চতা বিবেচনা করতে হবে, বিশেষ করে ড্রপ সিলিংয়ের ক্ষেত্রে, অর্থাৎ যেসব সিলিং প্রধান সিলিংয়ের সাথে অতিরিক্ত একটি সিলিং হিসেবে সংযুক্ত থাকে। তাছাড়া সিলিং থেকে ক্রিস্টাল লাইট, ফ্ল্যাশ লাইট বা নানারকম ঝাড়বাতি ঝোলানোর জন্য সিলিংয়ের উচ্চতা যথেষ্ট হওয়া বাঞ্ছনীয়।

৫. রং নির্বাচন

সিলিংয়ের রং নির্বাচনে দেয়ালের রঙের চেয়ে এখন অধিক গুরুত্ব দেয়া হয় ঘরের আসবাবপত্রকে। পুরো ঘরটি যদি একটি বিশেষ থিমের রঙ দিয়ে সাজানো হয়, সিলিংও সেই রঙেই সাজিয়ে ফেলতে হবে। আবার ঘরে কেমন আলো চান, তার উপরও নির্ভর করবে সিলিংয়ের রং। কারণ আলোকসজ্জা করবার পর সিলিং থেকে আলো প্রতিফলিত হবে পুরো ঘরেই।

৬. প্রতিধ্বনি এড়াতে চাইলে

সিলিংয়ের নকশা নির্বাচনে প্রতিধ্বনি হতে পারে বড় মাথাব্যথার কারণ, বিশেষত বড় হলঘর, কিংবা বসার ঘরে। ড্রপ সিলিং ব্যবহারে সিলিংয়ের উচ্চতা কমে আসে এবং লম্বা ঘরে কথার প্রতিধ্বনি হয়। এ থেকে মুক্তির উপায় অ্যাকাউস্টিক (Acoustic) সিলিং, যা শব্দ প্রতিধ্বনিত না করে শুষে নেয়।

নকশা নির্বাচনে যে বিষয়গুলোর উপর নজর রাখতে হবে, তা তো জানা হলো। এবার কিছু নান্দনিক সিলিং ডিজাইন সম্পর্কে জানা যাক।

হাই গ্লস সিলিং (High gloss)

এটি সিলিং ডিজাইনে একটি সাম্প্রতিক ট্রেন্ড। ড্রপ সিলিং বা ভারী আলোকসজ্জা ছাড়াই ঘরে আলোর সুষম বণ্টন এবং আরামদায়ক এম্বিয়েন্স তৈরির জন্য এ ধরনের সিলিং ব্যবহার করা হয়। মূলত সিলিং সর্বোচ্চ পরিমাণ মসৃণ করাই হাই গ্লস সিলিংয়ের মূল আকর্ষণ। মসৃণ সিলিংয়ে হালকা উজ্জ্বল রঙের মসৃণ প্রলেপ স্বচ্ছ হয় এবং আলোর প্রতিফলনও করে। পাশাপাশি এরূপ সিলিং ডিজাইন ব্যবহারে মনে হয় সিলিংয়ের উচ্চতা বেড়ে গেছে। এরূপ সিলিং অনেক সময় স্বচ্ছ কাচের মতোও হয় এবং ঘরের মেঝে এতে প্রতিফলিত হয়।

প্ল্যান্ট (Plant) সিলিং

শিল্পায়ন, নগরায়ন, সবকিছুতেই এখন সবুজায়নের উপর সর্বোচ্চ জোর দেয়া হয়। বড় বড় অবকাঠামোতে চলছে সবুজের আত্মীকরণ। বাসাবাড়ির ক্ষেত্রেও ভিন্ন নয় ব্যাপারটা। অনেকেই ঘরের ভেতরে প্রাকৃতিক আবহ তৈরির জন্য গাছগাছালি ব্যবহার করেন। তবে গাছ/ঘাস লতাপাতা যদি টবে না থেকে সিলিং থেকে ঝুলে যায়, তাহলে কেমন হয় বলুন তো? সহজ ভাষায় বললে- প্ল্যান্ট সিলিং হলো সিলিং থেকে বেশ কয়েক প্রকারের সৌন্দর্যবর্ধক লতা-গুল্ম ঝুলিয়ে দেয়ার পদ্ধতি। এগুলো ঝোলাবার জন্য কাঠের ব্লক ব্যবহারই সবচেয়ে সুবিধাজনক।

কাঠের নকশা

পাথুরে যুগের পর মানুষ বসতবাড়ি নির্মাণে কাঠের ব্যবহারই করেছে সবচেয়ে বেশি। সময়ের সাথে বাড়িগুলো কলেবরে বড় হয়েছে, আকাশপানে যাত্রা করে উঠেছে অনেক উপরে। এসব বাড়ি কাঠে নির্মাণ হয় না এখন আর। তবে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ঠিকই কাঠের কাছে ফিরেছে মানুষ।

মসৃণ গ্লসি সিলিংয়ে অসম আকৃতির মসৃণ কাঠ ব্যবহারে চমৎকার সিলিং তৈরি হয়। আবার ড্রপ সিলিংটি কাঠের হলে তা অন্যান্য ড্রপ সিলিংয়ের চেয়ে অভিজাত মনে হয়। সিলিং কাঠের নানা কারুকাজও স্থাপন করে থাকেন অনেকে।

আর্ট

সিলিংয়ে অতিরিক্ত কোনোকিছু যোগ না করে কেবল দস্তুরমতো রং করে ফেললেও সিলিং হতে পারে সাধারণ সিলিংয়ের চেয়ে সুন্দর। তবে যেনতেন রং নয়, সাধারণ ত্রিমাত্রিক আবহ ফুটিয়ে তোলা ডিজাইনই সিলিংয়ে সাধারণ একটি চিত্রকে অসাধারণ করে তুলতে পারে।

ভাস্কর্য

সিলিংয়ে খোদাই করার মতো ভাস্কর্যের গড়ন গড়ে তোলার চল এখনো রয়েছে। মসৃণ সিলিংয়ে উপর গৃহে বসবাসকারীর রুচি অনুযায়ী ফুটিয়ে তোলা হয় নানা আকৃতি। ভাস্কর্য ফুটিয়ে তোলা হলে সিলিং সাধারণত সাদা রাখা হয়, তবে অনেকেই রং করতে ভালোবাসেন ভাস্কর্যসমেত।

স্কাইলাইট

যদিও স্কাইলাইট সিলিং সাধারণত বাণিজ্যিক কাজেই ব্যবহৃত হয়, যেমন- রেস্টুরেন্ট, অফিসের মিটিং কক্ষে কিংবা শিল্প কারখানায়, তবে সৌখিন মানুষজন বসতবাড়িতেও স্কাইলাইট ব্যবহার করে থাকেন। স্কাইলাইট হলো গ্লাসনির্মিত বাহারি ডিজাইনের সিলিং যা দিনে সূর্যের আলোয় ঘরকে আলোকিত রাখে। এর একটাই অসুবিধা, চাইলেও টপ ফ্লোর ব্যতীত অন্য কোনো ফ্লোরে স্কাইলাইট ব্যবহার করতে পারবেন না।

এছাড়াও রুচিশীল মানুষজন অসংখ্য রঙের, ধরনের সিলিং ডিজাইন ব্যবহার করেন। যেমন – ঘরে ক্লাসিক লুক আনবার জন্য ‘ব্রিক অ্যান্ড স্টোন’-এর ব্যবহার, মেটাল সিলিং, ফেব্রিক সিলিং, স্টেনসিল, গ্লাস সিলিং ইত্যাদি।

ঘরের সিলিংয়ের সৌন্দর্য বাড়াবেন কীভাবে?

আমাদের বাসস্থান কিংবা কর্মস্থল, যেকোনো স্থানের অন্দরমহলের সৌন্দর্যবর্ধনের ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট সচেতন সবসময়ই। নিত্য-নতুন নকশার সব আসবাবপত্র কিংবা রঙের পরিবর্তন, আবার কখনোবা নতুন ধরনের লাইটের সংযোজন- সবকিছু মিলিয়েই বেড়ে উঠে একটি দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য। 

অন্দরমহলের সজ্জা বললে হয়তো সবার শেষে আমাদের বিবেচনায় আসে সিলিংয়ের নকশার কথা। কারণ, চিরকালই সিলিং বলতে আমরা কেবল মাথার উপর এক খণ্ড সাদা সরল তলকেই বুঝে থাকি। কিন্তু এটিও যে মনোযোগ দিয়ে তৈরি করার বিষয়, তা বোঝা যায় আধুনিক সময়ে এই সিলিং নকশার পেছনেও নকশাকারদের বিশদ পড়াশোনা এবং বিচার-বিবেচনা থেকে।

প্রকারভেদ

ব্যবহার ও নকশার উপর ভিত্তি করে কয়েক রকমের সিলিং বেশি দেখা যায়। যেমন-

  • কনভেনশনাল সিলিং
  • সাসপেন্ডেড সিলিং
  • ক্যাথেড্রাল সিলিং
  • শেড সিলিং
  • কোভ সিলিং
  • বীম সিলিং

সিলিংয়ের নকশার ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়েই ছাদের স্ট্রাকচার বহাল রেখে ফলস সিলিং কিংবা সিলিং টাইলসের মাধ্যমে নকশা করা হয়। সিলিংয়ের নকশা রুমের কার্যকারিতা, নির্মাণকাল, লোকেশন ও নকশার বাকি রুমের সাথে সামঞ্জস্যতা এসবের উপরও নির্ভর করে। মুঘল আমলের কোনো স্থাপনার সিলিংয়ের সাথে যেমন এখনকার কোনো সিলিংয়ের মিল খোঁজা ভিত্তিহীন, তেমনি বাসস্থানের বিভিন্ন রুমের সিলিংয়ের সাথে বিপণি-বিতান বা অফিসের সিলিংয়ের সাদৃশ্যও নেই বললেই চলে।

শহর ও গ্রামভেদে সিলিংয়ের পরিবর্তন

কেবলমাত্র কংক্রিটের তৈরি বাড়িতেই নয় বরং গ্রামাঞ্চলে টিনের তৈরি ছাদের ক্ষেত্রেও সিলিং ডিজাইনে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। একসময় টিনের তৈরি ঘরের ছাদের নিচে বাঁশের চাটাই, ছন, খড় এসব দিয়ে সিলিং তৈরি হতো। কিন্তু বর্তমানে পিভিসি প্লাস্টিক সিলিংয়ের বহুমাত্রিক ব্যবহারে সিলিংয়ে পরিবর্তন এসেছে। সাশ্রয়ী মূল্যের এই সিলিংয়ের সহজ ব্যবহার, কম খরচে মেরামতযোগ্যতা, সহজলভ্যতাসহ নানাবিধ গুণ রয়েছে। 

ফলস সিলিংয়ের ব্যবহার

আমাদের বাসা কিংবা অফিসে বর্তমানে ফলস সিলিংয়ের বহুল ব্যবহার দেখা যায়। আসল সিলিংয়ের নিচে জিপসাম বোর্ড, কাঠ কিংবা প্যারিস প্লাস্টারের এক বা একাধিক লেয়ারের সিলিং সংযোজন করা হয় এধরনের সিলিংয়ে। নকশার পরিবর্তন কিংবা দৃষ্টিনান্দনিকতার পাশাপাশি আরও বিভিন্ন কারণে ফলস সিলিং ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে ওয়্যারিং ঢাকা, রুমের টিভি, হোম থিয়েটারের একুইস্টিক (শাব্দিক) সামঞ্জস্যতা রক্ষা এবং শীতপ্রধান দেশে ঘরের তাপমাত্রা সহনশীল পর্যায়ে রাখা অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচ্য। নকশা ও ম্যাটেরিয়ালের উপর ভিত্তি করে যে কয়েক রকমের ফলস সিলিং বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তা হলো- 

  • জিপসাম সিলিং
  • উডেন সিলিং
  • প্যারিস প্লাস্টার সিলিং
  • মেটাল সিলিং
  • সিন্থেটিক ফাইবার সিলিং

সিলিংয়ের নকশা এবং রং

বাড়ির কোন রুমের জন্য সিলিং ডিজাইন করা হচ্ছে তা প্রথমে দেখে নিতে হবে। সাধারণত বসার ঘর, শোবার ঘর, শৌচাগার ভেদে সিলিংয়ের নকশায় তারতম্য হয়ে থাকে। রুমভেদে সিলিংয়ের উচ্চতার পার্থক্য হয়। সেক্ষেত্রে পরবর্তীতে যে ফলস সিলিং যোগ করা হয় তার অবকাশ সবসময় থাকে না। 

বিভিন্নভাবে সিলিংয়ের রঙের মাধ্যমে রুমের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায়। সাধারণত ছোট রুমকে বড় দেখানোর জন্য হালকা রঙের শেড ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া কম উচ্চতার সিলিংয়ে কিছুটা গ্লসি রঙ ব্যবহার করলে উচ্চতার পার্থক্য অনুভূত হয়। 

রঙের সাথে সাথে সিলিং ও ফলস সিলিংয়ের বিভিন্ন নকশা নিয়েও কাজ করা যায়। বর্তমান সময়ে সিলিং-সাইড ধরে চারকোনা নকশা কিংবা মাঝে গোল নকশা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে বিভিন্ন দিকে ও জায়গায় স্পট লাইট, রিসেসড লাইট কিংবা পেন্ডেন্ট লাইটের সংযোজন করা যেতে পারে। কিন্তু সিলিং যে কাঁচামালেই তৈরি হোক না কেন, পানিরোধক না হলে অচিরেই সিলিং অকেজো হয়ে পড়ে। সাধারণত সিলিংয়ের পানিরোধন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভেতরের দিকে পলিইউরেথিন সিলার ব্যবহার করা হয়। বাথরুমের সিলিংয়ের স্যাঁতস্যাঁতে ভাব কমানোর জন্য সেমি গ্লসি কিংবা অয়েল বেসড রং ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

কিছু কিছু ক্ষেত্রে সিলিং তৈরির সময় আগুনের বিষয়ে সতর্কতার কথা মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত রান্নাঘর কিংবা আগুনের সংস্পর্শে আসা সিলিংসমূহের ক্ষেত্রে এটি বিবেচ্য। এক্ষেত্রে প্লাস্টারবোর্ড সিলিং, ফাইবারড সিলিং ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

সিলিং যে ম্যাটেরিয়াল কিংবা নকশাতেই তৈরি হোক না কেন, সিলিংয়ের পরিচর্যার অভাবে অনেক সময়েই সিলিংয়ের কাঠামো কিংবা বাহ্যিক সৌন্দর্য নষ্ট হতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে নিয়মিতভাবে সিলিং পরিষ্কার, ভালো মানের রং ব্যবহার ও যেকোনো সমস্যা অচিরেই মেরামত করা বাঞ্ছনীয়। সেইসাথে সিলিং বিষয়ক যেকোনো প্রশ্নের উত্তর ও নির্মাণ বিষয়ক খুঁটিনাটি জানাতে আপনাদের সাথে আছে হোম বিল্ডার্স ক্লাব।