পাইলিং হচ্ছে বিল্ডিং বা স্থাপনার এক ধরণের ফাউন্ডেশন যা স্থাপনার নিচে মাটির গভীরে লোড স্থানান্তর করে স্থাপনাকে দৃঢ় ভিত্তি প্রদান করে। এটা সাধারণত করা হয়ে থাকে যে সব জমিতে মাটির ভারবহন ক্ষমতা কম কিন্তু স্থাপনাটি বহুতলভিত্তিক। এটাকে স্থাপনার কলামের সাথে তুলনা করা যায় যা মাটির গভীরে স্থাপিত হয়।
পাইলিং কয়েক ধরণের হতে পারে,যেমন-
• কাস্ট-ইন-সিটু পাইল
• স্যান্ড পাইল
• প্রি-কাস্ট পাইল
• শোর পাইল
• টিম্বার পাইল
পাইলিং করার সময় বিবেচ্য বিষয়গুলো নিম্নে দেওয়া হলো-
• পাইলিং করার আগে মাটির ধরণ অনুযায়ী স্ট্রাকচারাল ডিজাইন ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে,
• নির্মাণ কাজের জায়গার মাটির ধরণ অনুযায়ী সঠিক পাইলিং করার ধরণ দেওয়া হয়েছে কিনা,
• যে পাইলিংটি করা হবে তার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সাইটে মজুত আছে কিনা,
• যে ডায়ার পাইলিং করা হবে তার সঠিক মাপের চিসেল নেওয়া হয়েছে কিনা,
• যে পাইপ দিয়ে ঢালাই হবে অর্থাৎ ট্রিমি পাইপ এর সাইজ, সেফ ও বেশী পুরাতন কিনা দেখা,
• কমপক্ষে আধা ঘন্টা বা যতক্ষণ পানিতে কাঁদা আসে ততক্ষণ বোরিং ওয়াস করতে হবে,
• পাইল করার সময় একটি পাইল হতে আরেকটি পাইলের ডিসট্যান্স মিনিমাম ৬ ফুট হতে হবে, বেশি হলে আরও ভাল হয়,
• পাইলিং এর মাটির নিচের রডের মাথা সমান রাখার জন্য প্রজেক্টে সুবিধামত জায়গায় ২ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট একটি লেভেলিং পিলার তৈরি করতে হবে, এর ভিত্তিতে ওয়াটার পাইপ বা লেভেলিং মেশিনের সাহায্যে কাসিং পাইপের মাথায় লেভেল দিতে হবে। পাইলিং রডের খাচার মধ্যে একটি ১০ মি.মি ব্যাসের রডের হুক লাগিয়ে লেভেলের পরিমাণ মত একটি রড ক্যাসিং পাইপের মাথায় হুক করে লাগাতে হবে।
• একটি মেশিনে এক দিনে ৫০ ফুটের উপর হলে ২ টি এবং নিচে হলে ৩ টি পাইলিং করা উচিত।
• কাস্টিং করার পর কাট অপ মাথা ভেঙ্গে ফেলা হয়, সে জন্য এই অংশটুকু কম রেশিওতে ঢালাই করতে হবে।
• পাইলিং করা জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাটেরিয়ালস সাইটে রাখা।