Have any question?
Call Now: 01708158112 Email: info@homebuildersclub.org

কংক্রিটিং করার নিয়ম কানুন

একটি বাড়ির কাঠামো তৈরি করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদার্থটি হচ্ছে কংক্রিট। এই পদার্থটি বিভিন্ন উপাদানের মিশ্রণের মাধ্যমে তৈরি করা হয়ে থাকে। যেমন, সিমেন্ট, বালি, খোয়া, পানি ইত্যাদি। এই উপাদানগুলোর একটি নির্দিষ্ট অনুপাতের সংমিশ্রণেই তৈরি হয় কংক্রিট। তাই কংক্রিট তৈরিতে এইসব উপাদানের কাজ কি সেটা জেনে নেওয়া যাক।
সিমেন্ট
কংক্রিটিং করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে সিমেন্ট। একে নির্মাণশিল্পে ব্যবহৃত আঠা হিসেবে অভিহিত করা যেতে পারে। এখনকার মত না হলেও প্রাচীনকালে থেকে সিমেন্টের অনেক বড় ইতিহাস আছে। ল্যাটিন ভাষায় cēmentum (ভিন্ন শব্দরূপ caementum) শব্দটি পাওয়া যায় খ্রিস্টাব্দ ১২৫০-১৩০০ সালের দিকে যার অর্থ খনি থেকে প্রাপ্ত এমন পাথরের টুকরা। অন্যদিকে রোমানরা দেয়াল তৈরির কাজে উপকরণ সংযোজক পদার্থ হিসেবে opus caementicium শব্দটি ব্যবহার করত যা পোড়া চুন, গুঁড়া শিলা দিয়ে তৈরি হত। প্রাচীন ফরাসি শব্দে cyment আর ইংরেজিতে cement হিসেবে পরিচিত। আমাদের দেশে সিমেন্ট শব্দটি এসেছে এই ইংরেজি শব্দ থেকেই।
সিমেন্ট শুকনো গুঁড়া জাতীয় পদার্থ হিসেবে বাজারে পাওয়া যায়। এই গুঁড়া জাতীয় পদার্থ পানি বা অন্য কোন তরলের সাথে মিশ্রিত করলে কাঁদার মত নমনীয় পদার্থ পাওয়া যায় এবং তা কিছু সময়ের মধ্যে জমে গিয়ে বিভিন্ন দৃঢ়তার শক্ত পদার্থ গঠন করে। শুধু তাই নয়, জমাট বাধার সময় একসাথে অন্যান্য উপকরণ (যেমন খোয়া, লোহা ইত্যাদি) নিয়েও সে জমাট বাধতে পারে। সুতরাং কংক্রিটে সিমেন্ট মূলত জমাট বাধাইকারী উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া কংক্রিটের ভিতরে ফাঁকাস্থান পূরণ করতেও এটি সক্ষম।
খোয়া
আমরা দুই ধরণের খোয়া ব্যবহার করে থাকি। পাথর ভাঙ্গা ও পিকেট ভাঙ্গা । আমরা যেটাই ব্যবহার করি না কেন তা অবশ্যই স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ নিয়ে করতে হবে। ব্রিক চিপস এর নিজস্ব ওজন স্টোন চিপস এর চেয়ে কম। তাই কংক্রিটের স্ট্রেথ স্টোন চিপসেই ব্রিক চিপস অপেক্ষা ভালো আসে। এখন কথা হচ্ছে কংক্রিটে খোয়ার কাজ কি?
১। এটি কংক্রিটকে তার বাহ্যিক রূপ আনতে সাহায্য করে।
২। কংক্রিটকে বাহিরের আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা প্রদান করে।
৩। এটি কংক্রিটকে স্ট্রেথ স্ট্যাবিলিটি আনতে সাহায্য করে।
এই খোয়া সাধারণত ৩/৪ ইঞ্চি ডাউন গ্রেডেড হয় এবং বিভিন্ন সাইজের খোয়া থাকতে হয়। খোয়া বিভিন্ন সাইজের থাকলে তাকে ওয়েল গ্রেডেড খোয়া বলে যা ভালো কংক্রিটের জন্য অতীব প্রয়োজনীয়।
 
বালি
আমাদের দেশে সিলেট বালি বা লাল বালি এবং সাদা বালি কংক্রিটের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকি। অনেকে ৬০% সিলেট বালি এবং ৪০% সাদা বালি ব্যবহার করে থাকে তবে তা না করাই ভালো। কংক্রিটে খোয়ার মাঝে যে অংশগুলো ফাঁকা থাকে তা পূরণ করা হয় এই বালি দিয়ে যা কংক্রিটের স্ট্রেথ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

পানি
নির্মাণ কাজে পানির গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা অনেক সময় কংক্রিটের কাজে আশেপাশের নর্দমার পানি ব্যবহার করি যা একেবারে অনুচিত। কংক্রিটে ব্যবহৃত পানি অবশ্যই খাবারযোগ্য বা তার কাছাকাছি পানি ব্যবহার করতে হবে।
সিমেন্টের মধ্যকার পদার্থসমূহকে বিক্রিয়ার জন্য সাহায্য করাই পানির কাজ। পানি ছাড়া সিমেন্ট বালু ও খোয়ার মধ্যে সংযোগ তৈরি হয় না। পানি সিমেন্টের সেটিং (Setting) ও হার্ডেনিংয়ে (Hardening) সাহায্য করে।
এতো জানলাম আমরা উপাদানের কাজের কথা। এবার জানা যাক কংক্রিট তৈরি করার সময়ে কি কি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। সেগুলো নিম্নরূপঃ
১। কংক্রিটে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি উপাদানের গুণগত মানঃ
কংক্রিটের ক্ষেত্রে আমাদের দেশে অনেক সময় সিমেন্ট, খোয়া, বালি, পানি ইত্যাদির গুণগত মানের উপর লক্ষ্য করা হয় না যা ভাল কংক্রিট তৈরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক।
সিমেন্টের অনেকগুলো ল্যাবরেটরি টেস্ট আছে। যেমন, টেস্ট ফর ফাইননেস, প্রাথমিক এবং চূড়ান্ত সেটিং টাইম, সাউন্ডনেস, কম্প্রেসিভ এবং টেনসাইল স্ট্রেন্থ ইত্যাদি। বাজারে ভালো ব্রান্ডের সিমেন্ট এই টেস্টগুলো বুয়েট থেকে করিয়ে থাকে এবং ভোক্তাদের টেস্ট রেজাল্টগুলো দেখিয়ে বিক্রি করে থাকে। আপনি মালিক হিসেবে তাদের রেজাল্টগুলো তুলনা করে দেখতে পারবেন। বাজারে সিমেন্টের যে ব্যাগগুলো পাওয়া যায় সেগুলোর নেট ওজন ৫০ কেজি থাকে। এটিও খুব সহজে ওজন নিয়ে যাচাই করা যায়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে এই সিমেন্টের ব্যাগগুলোকে ভালোভাবে বায়ুরোধক করে প্যাকেজিং করা হয়েছে কিনা দেখে নিতে হবে।
খোয়া কংক্রিটে ব্যবহার করার সময় অবশ্যই সব ধরণের অবাঞ্চিত ময়লা মুক্ত থাকতে হবে। স্টোন চিপস এর পানি শোষণ ক্ষমতা কম কিন্তু ব্রিক চিপস এর পানি শোষণ ক্ষমতা অনেক বেশি। একটি ভালো ব্রিক চিপস অবশ্যই ১৫% এর বেশি পানি শোষণ করবে না। এই সমস্যা প্রতিরোধের জন্য কংক্রিটিং করার ২৪ ঘন্টা পূর্বে খোয়া পানি দিয়ে ভেজানো উচিত। ঝামা ইট দিয়ে তৈরি খোয়া ব্যবহার করা উচিত নয়। সিলেটের জফলং, ভোলাগঞ্জ, পঞ্চগড় ও বগুড়া থেকে বোল্ডার পাওয়া যায়। তা থেকে ভালো মানের ক্রাশড স্টোন তৈরী করা যায়। ছোট বোল্ডারের চেয়ে বড় বোল্ডারের খোয়ার গুণগত মান ভাল। সাধারণত বোল্ডার বিক্রেতারাই মেশিনের সাহায্যে খোয়া তৈরী করে বিক্রি করে থাকে। লালছে মরা পাথর বিহীন বোল্ডারের গুণগত মান ভালো। খোয়ার সাইজ গুটা গুটা থাকবে এবং হাতে নিলে ওজন অনুভূত হবে।
খোয়ার মত বালিও অবাঞ্চিত ময়লা মুক্ত হতে হবে। সাইটে শুকনা বালি ময়লা পরিশোধনের জন্যে ছেঁকে ব্যবহার করা ভাল। উন্নতমানের বালির দানা তীক্ষ্ণ, কৌণিক এবং শক্ত হয়ে থাকে। তাছাড়া পঁচা পাতা, জৈবিক পদার্থ এবং পলিমুক্ত থাকে। বালির দানার গ্রেডিং নিরূপণের জন্য ল্যাবরেটরিতে চালুনির সাহায্যে যে পরীক্ষা করা হয় তার ফলাফলকে Fineness Modulus (FM) দ্বারা প্রকাশ করা হয়। নির্মাণ কাজের জন্য উপযুক্ত মোটা বালির এফ এম ১.৫ থেকে ২.৫ এবং চিকন বালির এফ এম ১.২ থেকে ১.৫ থাকা বাঞ্চনীয়। অন্যদিকে এক ট্রাক শুকনা বালি, এক ট্রাক ভিজা বালির চেয়ে পরিমাণে অনেক বেশি। তাই বালি ক্রয়ের সময় শুকনা/ভিজা বালি একটা লক্ষণীয় বিষয়। সম্পূর্ণ শুকনা বালিতে পানি মিশালে বালির আয়তন বৃদ্ধি পায়। আয়তন বৃদ্ধির পরিমাণ বালির আর্দ্রতার পরিমাণের উপর নির্ভর করে। এই পরিমাণ বৃদ্ধির বিষয়কে বালির বালকিং বলা হয়ে থাকে। কংক্রিট মিশ্রণের সময় বালির আনুপাতিক হার নির্ণয়ে বালকিং এর বিষয়টি লক্ষ রাখা প্রয়োজন। সাধারণত বালির আর্দ্রতার পরিমাণ ৪% থেকে ৩৬% পর্যন্ত হলে সর্বাধিক বালকিং হয়ে থাকে। তবে বেশি পানি মিশালে বালকিং এর পরিমাণ আবার কমে আসে। সূক্ষ্ণ দানার বালির বালকিং মোটা বালির চেয়ে বেশি। সূক্ষ্ণ বালির সর্বাধিক বালকিং নিজ আয়তনের শতকরা ৪০ ভাগ ও মোটা দানার বালির শতকরা ২৫ ভাগ হতে পারে।
সবশেষে, পানি অবশ্যই খাবার উপযোগী হতে হবে। আয়রনের পরিমাণ বেশি হওয়া চলবে না (সমুদ্রের পানি কাজের অনুপযুক্ত)। শ্যাওলা/আবর্জনা থাকা চলবে না।
২। কোন রেশিওতে ঢালাই দিতে হবেঃ
আমাদের দেশে কংক্রিটের স্ট্রেথ এর চেয়ে কোন রেশিওতে ঢালাই দিবে সেটা নিয়ে বেশি ভাবা হয়। সাধারণত বেশি স্ট্রেথ চাইলে সিমেন্টঃবালিঃখোয়া এর রেশিও ১:১.৫:৩ আর কম স্ট্রেথ চাইলে সিমেন্টঃবালিঃখোয়া এর রেশিও ১:২:৪ ব্যবহার করা হয়। তবে এভাবে চিন্তা করে ঢালাইয়ের রেশিও ঠিক না করাই ভাল। কারণ একেক জায়গায় সাইট কন্ডিশন একেক রকম হয়ে থাকে। তাই একজন কংক্রিট স্পেশালিস্ট দিয়ে মিক্স ডিজাইন করিয়ে নেওয়া ভালো। বাংলাদেশে এসিআই মিক্স ডিজাইন অথবা বিআরই মিক্স ডিজাইন ব্যবহার করে মিক্স ডিজাইন করা হয়ে থাকে।
৩। কংক্রিটে হাইড্রেশন ও ওয়াটার সিমেন্ট রেশিওঃ
হাইড্রেশন একটি রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া যা সিমেন্টের প্রধান যৌগগুলি পানির অণুগুলির সাথে রাসায়নিক বন্ড গঠন করে এবং হাইড্রেট বা হাইড্রেশন পণ্য তৈরি করে। ভালো কংক্রিট পেতে হলে যথাযথ পরিমাণ মিক্সিং করে এই রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া ঘটতে দিতে হবে।
কংক্রিটে পানির ওজন এবং সিমেন্টের ওজনের রেশিওকে ওয়াটার সিমেন্ট রেশিও বলে। কংক্রিটের স্ট্রেথ, কার্যোপযোগিতা নির্ভর করে কংক্রিটে উপস্থিত পানির উপর। সিমেন্টঃবালিঃখোয়া এর রেশিওর উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয় পানির পরিমাণ। পানির পরিমাণ কম বা বেশি হলে তা কংক্রিটের স্ট্রেথ কমিয়ে দেয়।
পরিপূর্ণ হাইড্রেশনের জন্য একটি নির্দিষ্ট ওজনের সিমেন্টের জন্য প্রায় ২৫% পানি লাগে। নূন্যতম ওয়াটার সিমেন্ট রেশিও ধরা হয় ০.৩৫ – ০.৪। পানির পরিমাণ বেশি হলে তা কংক্রিটকে দূর্বল, ফাঁপা, আদ্রতা প্রবেশযোগ্য, স্থায়িত্ব কমিয়ে দিয়ে ফাটল তৈরি করে।
কংক্রিটে পানির পরীক্ষা খুব সহজেই করা যেতে পারে। কংক্রিট তৈরী হলে তা একটুখানি হাতে নিয়ে টিপে টিপে একটা ছোট বলের আকার দিতে হবে। এবার ঐ বলটিকে বাতাসে প্রায় এক মিটার উপরে ছুঁড়ে দিয়ে আবার বলটি হাতে ফিরে আসার পর ভেঙ্গে যায় তার মানে হল বুঝতে হবে পানির পরিমাণ বেশী।
৪। কংক্রিটের কার্যোপযোগিতা পরীক্ষাঃ
কংক্রিট এর মধ্য ধারাবাহিকতা বা সমসত্ত্বতা যাচাই এর জন্য এই পরীক্ষা করা হয়।এই পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা হয় যে, কংক্রিট এর কার্যউপযোগীতা কতটুকু। স্ল্যাম্প এর পরিমান অবশ্যই নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাকবে।
যদি আমরা বিল্ডিং এর ভিত্তি ঢালাই দেয় তবে স্ল্যাম্প হবে ২-৪ ইঞ্চি, স্লাব বিমের ক্ষেত্রে ২-৫ ইঞ্চি এবং কলামের ক্ষেত্রে ৩-৬ ইঞ্চি হতে পারে।
৫। মিক্সার মেশিন নাকি হাতে মিক্সডঃ
কনক্রিটের ভালো স্ট্রেথ এবং উপাদান গুলোকে ঠিকমত মিশানোর জন্যে অবশ্যই মিক্সার মেশিন ব্যবহার করা উচিত। এছাড়া আজকাল অনেক কোম্পানী রেডিমিক্স কংক্রিট বিক্রি করে থাকে। বাড়ি বানানোর কাজে সেগুলোও ব্যবহার করা যেতে পারে।
৬। কংক্রিট তৈরি করার কতক্ষণ পর্যন্ত রাখা যাবেঃ
কংক্রিট তৈরির পর সেটাকে যদি ব্যবহার না করে ফেলে রাখা হয় তবে যত সময় যাবে তত কংক্রিটের স্ট্রেথ কমতে থাকবে। সাধারণত ৩০ মিনিটের বেশি ফ্রেশ কংক্রিট ফেলে রাখা যায় না।
৭। কংক্রিটিংয়ে আবহাওয়ার প্রভাবঃ
কংক্রিটিংয়ে আবহাওয়ার প্রভাব রয়েছে। যেমন গরমের দিনে হাইড্রেশন তাড়াতাড়ি হওয়ার কারণে তা কংক্রিটের স্ট্রেথ কমিয়ে দিতে পারে। তাই আবহাওয়ার উপর খেয়াল রেখেও পানির পরিমাণ নির্ধারিত করতে হয়। কংক্রিট প্লেসমেন্টের পর ঠিকমত জমাট বাঁধার আগেই যদি বৃষ্টি আসে তার জন্যে আগেই উপযুক্ত ব্যবস্থা করে রাখতে হবে।
৮। কংক্রিটে এ্যাডমিক্সার কখন লাগেঃ
মাঝে মাঝে কংক্রিটের কার্যোপযোগিতা বাড়ানোর জন্য এ্যাডমিক্সার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। হাই স্ট্রেথ কংক্রিট বানানোর জন্যে এটি এখন বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়। বাজারে বিভিন্ন ধরণের এ্যাডমিক্সার পাওয়া যায়। যেমন, রাসায়নিক বিক্রিয়ার গতি হ্রাস-বৃদ্ধি, বাতাস প্রতিরোধক, শক্তিমাত্রা বাড়ানো ইত্যাদি।
৯। সাইট বুক মেইনটেইনঃ   
কনস্ট্রাকশন সাইটে সাইট বুকে ট্যালি সিস্টেমে সিমেন্টঃবালিঃখোয়া এর রেশিও মেইনটেইন করা ভালো। এতে সিমেন্টঃবালিঃখোয়া মিক্সিং ঠিকমত হচ্ছে কিনা খুব সহজেই বোঝা যায়। অনেক সময় এই কাজটিকে অগুরুত্বপূর্ণ মনে করে অল্প শিক্ষিত মানুষ দিয়ে করানো হয় যাতে সঠিক মনিটরিং করানো যায় না। এই কাজটি সুন্দরভাবে পালন করলে, এস্টিমেশনে কয় ব্যাগ সিমেন্ট ধরা হয়েছিল আর বাস্তবে কয় ব্যাগ সিমেন্ট লেগেছে তার তুলনামূলক ধারণা পাওয়া যায়।
১০। ভাইব্রেটিং মেশিনঃ
কংক্রিট প্লেসমেন্টের পর অবশ্যই কম্পাকশন করতে হবে। ভালোভাবে কম্পাকশন না হলে কংক্রিটে ফাঁপা তৈরি হবে যা স্ট্রেথ কমিয়ে দিবে। অর্থাৎ টাকা খরচ করেও সব ফলাফল হবে শূন্য। এজন্য অবশ্যই ভাইব্রেটিং মেশিন দিয়ে কম্পাকশন করতে হবে। অনেকে বাঁশ, কাঠ ইত্যাদি দিয়ে গুঁতিয়ে কম্পাকশন করার চেষ্টা করেন যা একদম অনুচিত।