বাড়ি কেনার জন্য চেকলিস্টঃ
1. একটি বাজেট নির্ধারণ করুন। এতে আপনি ধরে নিতে পারবেন আপনি কি ধরণের বাড়ি এবং কোন এলাকায় তা কিনতে পারবেন। আপনার বাজেট তৈরি করার আগে শুধু বাড়ির মূল্য বা মর্টগেজ পেমেন্টই নয়, অন্যান্য সব খরচাদির কথাও বিবেচনায় রাখতে হবে যেমন বাসা মেরামত খরচ, রক্ষণাবেক্ষণ খরচ ইত্যাদি।
2. আপনার বিভিন্ন ফাইনান্সিয়ালস এর ব্যাপারে খেয়াল রাখুন। নিজের এক কপি ক্রেডিট রিপোর্ট নিন যাতে আপনি জানতে পারেন আপনার ঋণদাতারা কি দেখতে পাবে।
3. এর মধ্যে ঠিক করে নিন কোথায় বাড়ি কিনবেন। যেমন, ঢাকার ক্ষেত্রে গুলশান-বনানী এলাকা বেশ উন্নত এবং বাণিজ্যিক-ভাবে এগিয়ে। আপনার চাহিদা ( যেমনঃ মূল্য, বিভিন্ন সুবিধা ) অনুযায়ী ঠিক করে নিন কেমন দামের বাড়ি কিনবেন।
বিভিন্ন প্রপার্টির খোঁজ করা শুরু করুন। আপনি বিভিন্ন পরিচিত লোকদের জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন, নানা প্রফেশনালদের উপদেশ নিতে পারেন এমনকি অনলাইনেও চেক করতে পারেন, যেমন আমাদের নিজস্ব সাইট যা এই কাজ সহজ করে দিতে পারে। কয়েকটি বেছে নেওয়ার পর ঠিক করে নিন নিজে গিয়ে এই প্রপার্টিগুলো দেখে নিন আর যদি মনে হয় কোনটা আপনার সম্ভাব্য বাড়ি হতে পারে, তখন রিয়েল এস্টেট এজেন্ট এর সাথে যোগাযোগ করুন।
4. পরিবেশ আর বিভিন্ন প্রতিবেশীদের বিবেচনা করে আপনার পছন্দের প্রপার্টি বেছে নেওয়ার পর রিয়েল এস্টেট এজেন্টের সাথে বিভিন্ন বিল, মূল্য, সুবিধা আর বাড়ির বর্তমান অবস্থার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে নিন। আর কোন কারণে যদি আপনার মন মত কিছু না মিলে, তাহলে ঐ প্রপার্টির কথা ছেড়ে দিতে দ্বিধাবোধ করবেন না।
5. অবশেষে, যদি সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যায়, তাহলে বাড়ি কিনে নেয়ার আগে কিছু সই করার আগে অবশ্যই সবকিছু ঠিকভাবে পরে নিন। এছাড়াও, কিনার পূর্বে বাড়িটি একজন প্রফেশনালকে দিয়ে যেকোনো ধরণের ক্ষতি বা লিক-এর জন্য চেক করিয়ে নিন।
রিয়েল স্টেট হাউস ক্রেতার টিপসঃ
• কোন কাগজপত্র সই করবেন না ( চুক্তির দলিল বা শর্তাবলীসহ কোন আবেদন )। এমনকি যখন কোন বুকিং-এর টাকা জমা দিচ্ছেন, কিন্তু অবশ্যই টাকার রিসিপ্ট নিবেন। কোন ফাঁকা চেক কখনই সই করবেন না।
• কোন দলিল সই করার আগে কখনো কোন টাকা দিবেন না ( ডাউন পেমেন্ট বা ইন্স্টলমেন্ট )। আপনার সেলস অফিসারের ( এজেন্ট ) কাছে আপনি দলিলের ড্রাফট দেখার জন্য কিছু সময় চেয়ে নিন। বুকিং টাকা জমা না দিলেই তিনি আপনার জন্য সবচেয়ে উপকারী হবে। মনে রাখবেন ( আপনি যত টাকা দিবেন, ততটাই আপনি নিয়ন্ত্রণ হারাবেন আর ততটাই বেশি নিয়ন্ত্রণ ডেভেলপার পাবে )। টাকা ফেরত পাওয়া কোন সহজ কাজ নয়।
আপনার যত সময় প্রয়োজন, নিন। অভিজ্ঞ কোন লোকের উপদেশ নিয়ে দলিলের প্রতিটি লাইন আর অক্ষর বুঝে নিন, বিশেষ করে লম্বা লাইনগুলো ( এগুলো উদ্দেশ্যমূলক আর ফাঁদ হতে পারে )। অবশ্যই এই ব্যাপারগুলোর উপর বেশি খেয়াল দিবেন ।
• প্রপার্টির আইনি বিবরণঃ
খেয়াল রাখুন এইটাতে ঠিকানা, আয়তন, জমির অধিকার, কমন স্পেস আর পরিকাঠামোর ব্যাপারে ঠিকভাবে উল্লেখ করা আছে কি না।
• চুক্তির নীতিঃ
এ রকম কিছু নীতিমালাতে থাকা উচিত – “ক্রেতা প্রপার্টির মালিক। যদি কোন ধারা বা উপধারা ভঙ্গ হয়, তবে এই নীতিমালা খারিজ হবে”।
• একমাত্র মালিকঃ
ডেভেলপার (বিক্রেতা) এখানে এই জামিন দিবেন যে কর্তৃত্বের সম্পূর্ণ অধিকার এবং কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন একমাত্র তার; আর সড়ক, খোলা স্থান, ইউটিলিটি অবকাঠামো, বিল্ডিং/ অ্যাপার্টমেন্ট ক্রেতার কাছে বিক্রয় ও অধিকার মীমাংসা বা হস্তান্তরের অধিকার তাদের এবং অন্য কোন ব্যক্তি, পক্ষ বা যে কেউ এই রিয়েল এস্টেট এর কোন দাবী, অধিকার, শিরোনাম, স্বার্থ রাখেন না।
• মূল্যঃ
চুক্তিমালাতে ভবিষ্যতে কোন ধরণের মূল্যবৃদ্ধির কথা বলা থাকবে না ( যদি আপনি চান, তাহলে থাকতে পারে )।
• পেমেন্টের সময়ঃ
আপনার ব্যবস্থা বিবেচনা করে সময় ঠিক করুন। পেমেন্ট বিলম্বের ( ডিফল্ট ) ক্ষতিপূরণের কথা মনে রাখুন।
• হস্তান্তর / বিতরণ বিলম্বের জন্য ক্ষতিপূরণঃ
আপনার ব্যাংক লোন বা অন্য যেকোনো ক্ষতি বা হস্তান্তর / বিতরণ বিলম্বের জন্য ক্ষতিপূরণের কথা বিবেচনা করুন ।যেমনঃ নীতিমালায় প্রতি মাসে দেওয়া টাকার কত শতাংশ দিতে হয়। আপনাকে দেওয়া অতিরিক্ত সময়ের কথা মনে রাখবেন, পারলে এই সময় পার হতে দিবেন না আর দিলেও তা সামান্য রাখবেন।
• ব্যবস্থাপনা চুক্তিঃ
চুক্তির নীতি হবে “ক্রয়কারীরা বিল্ডিং / শহর মালিক এবং এটি পরিচালনা করার পূর্ণ কর্তৃত্ব আছে”,
এবং ইউটিলিটি এবং রক্ষণাবেক্ষণ সহ সব ধরণের চার্জই কেবল খরচ এবং এই খরচ যাচাইযোগ্য।
• নথি, চুক্তির অংশঃ
সরকারী কর্তৃপক্ষ ( রাজউক ) কর্তৃক অনুমোদিত লেআউট, পরিকল্পনা, স্পেসিফিকেশন এবং ভূমি পরিমাপ অন্তর্ভূক্ত করুন যেখানে ভবিষ্যতে ক্রয়কারীসহ অন্যান্য ক্রয়কারীগুলির জন্য সম্পত্তি উল্লেখ করা আছে।
• হস্তান্তর তারিখঃ
গ্রেস পিরিয়ড থাকা সত্ত্বেও একটি শেষ সময় উল্লেখ থাকতে হবে।
• রিফান্ডঃ
যদি ক্রেতা কর্তৃক ত্যাগ বা ডেভেলপার কর্তৃক বাতিল বা প্রজেক্ট পরিত্যাগ করা হয়ঃ সবার সাথে সামঞ্জস্য রাখতে এই তিনটি পন্থা অবলম্বন করা যাবে।যেমনঃ মোট টাকার একটি নির্দিষ্ট শতাংশ।
• ফেরত বিলম্বে ক্ষতিপূরণের ধারাঃ
এটা হস্তান্তর / বিতরণ বিলম্বের জন্য ক্ষতিপূরণের মতই হতে পারে।